Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

প্রশ্নোত্তর (শ্রাবণ-১৪২৬)

কৃষি বিষয়ক
নিরাপদ ফসল উৎপাদনের জন্য আপনার ফসলের ক্ষতিকারক পোকা ও রোগ দমনে সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা অনুসরণ করুন।

 

রহিম মিয়া, গ্রাম : ডালিয়া, উপজেলা : ডিমলা, জেলা : নীলফামারী
প্রশ্ন :  কামরাঙ্গার বাকল ও ডাল ছিদ্রকারী পোকা দমনের উপায় সম্পর্কে জানাবেন।
উত্তর :  কামরাঙ্গার ক্ষতিকর পোকার মধ্যে কামরাঙ্গার বাকল ও ডাল ছিদ্রকারী পোকা অন্যতম। এ পোকা গাছের বাকল ও ডাল ছিদ্র করে ভেতরে ঢুকে পড়ে। এ পোকার উপস্থিতি সহজেই বুঝে যায়। কারণ কামরাঙ্গা গাছের ডালের গায়ে ঝুলে থাকা কাঠের গুঁড়া-মিশ্রিত মলের ছোট ছোট দানা দ্বারা শনাক্ত করা সম্ভব। এ পোকা দিনের বেলা লুকিয়ে থাকে কিন্তু রাতের বেলা সক্রিয় হয়। গাছের যেসব জায়গায় কাঠের গুঁড়া মিশ্রিত মল দেখা যায় সেসব জায়গা পরিষ্কার করে গর্তে লুকিয়ে থাকা পোকাকে হুক দিয়ে খুঁচিয়ে মেরে ফেলা যায়। এছাড়া গর্তের মুখে কেরোসিন বা ন্যাপথোলিন ঢুকিয়ে কাদা দ্বারা গর্তের মুখ বন্ধ করে দেয়া যায়। এসবের পাশাপাশি কার্বোসালফার গ্রুপের মার্শাল-২০ ইসি ২মিলি প্রতি লিটার পানির সাথে মিশিয়ে ১ সপ্তাহ পর ৩ থেকে ৪ বার স্প্রে করলেও উপকার পাওয়া যায়। এছাড়াও পোকায় খাওয়া বাকল চেছে কপার জাতীয় ছত্রাকনাশকের প্রলেপ দিতে হবে। এ সমস্ত ব্যবস্থাপনা করলে আশাকরি আপনি উপকার পাবেন।  

 

লোকমান আলী, গ্রাম : পূর্ব শ্যামপুর, উপজেলা : শিবগঞ্জ, জেলা : চাঁপাইনবাবগঞ্জ
প্রশ্ন : মিষ্টিআলুর পাতা কুঁকড়িয়ে যায়। এ সমস্যায় করণীয় কি?  
উত্তর :  ভাইরাসের আক্রমণ হলে মিষ্টি আলুর পাতা উপরের দিকে কুঁকড়িয়ে যায় এবং পাতা ছোট আকার ধারণ করে। এ রোগের আক্রমণে ফলন মারাত্মকভাবে কমে যায়। এ রোগটি সাদা মাছি পোকার মাধ্যমে হয়ে থাকে। এ রোগ দমনের জন্য রোগমুক্ত লতা লাগানো, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন চাষাবাদ করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া সাদা মাছি পোকা দমনের জন্য ইমিডাক্লোরপ্রিড গ্রুপের যেমন এডমায়ার প্রতি লিটার পানিতে ১ মিলি ভালোভাবে মিশিয়ে সঠিক নিয়মে স্প্রে করলে উপকার পাওয়া যায়। সেক্ষেত্রে ১৫ দিন পর স্প্রে করলে সাদা মাছি পোকা দমন করা যায়।  

 

করিম বখশ, গ্রাম : বুন্দুলিতলা, উপজেলা :  চৌগাছা, জেলা : যশোর
প্রশ্ন : কাটিংয়ের মাধ্যমে ড্রাগন ফল চাষ সম্পর্কে জানাবেন।  
উত্তর : কাটিংয়ের মাধ্যমে ড্রাগন ফলের বংশবিস্তারে সফলতার হার প্রায় শতভাগ এবং ফলও তাড়াতাড়ি ধরে। কাটিং থেকে উৎপাদিত গাছে ফল ধরতে ১২ থেকে ১৮ মাস সময় লাগে। সাধারণত ৬ থেকে ১ বছর বয়স্ক গাঢ় সবুজ শাখা হতে ২০ থেকে ৩০ সেমি লম্বা টুকরা কাটিং হিসেবে ব্যবহার করা হয়। কাটিং ৫০ ভাগ পচা গোবর ও ৫০ ভাগ ভিটি বালুর মিশ্রণ ৮ঢ১০ ইঞ্চি আকারের পলিব্যাগে স্থাপন করে ছায়াযুক্ত স্থানে রেখে দিতে হয়। এভাবে ৩০ থেকে ৪৫ দিন পরে কাটিংয়ের  গোড়া থেকে শিকড় এবং কাণ্ডের প্রান্ত থেকে নতুন কুশি বের হলে মাঠে লাগানোর উপযুক্ত হয়।   

 

রমজান আলী, গ্রাম : দক্ষিণ বারপোতা, উপজেলা : সারশা, জেলা : যশোর
প্রশ্ন : ড্রিপ পদ্ধতিতে সার মিশ্রিত সেচ পানির ব্যবহার স¤পর্কে জানতে চাই।
উত্তর :  প্রচলিত পদ্ধতিতে সেচ ও সার প্রয়োগ আলাদাভাবে করা হয়। কিন্তু ড্রিপ পদ্ধতিতে সারমিশ্রিত সেচ পানি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এতে সার ও সেচের পানির অপচয় রোধ করা সম্ভব হয়। বিশেষ করে টমেটো ফসলে এ ধরনের পদ্ধতি বেশ কার্যকর। সেচের পানি ফোঁটায়    ফোঁটায় গাছের গোড়ায় প্রয়োগ করা হয়। যে কারণে সমস্ত জমি ভেজানোর প্রয়োজন হয় না। কম পরিমাণ পানি প্রয়োগের ফলে সারের চোয়ানোজনিত অপচয় হয় না। বরং এ পদ্ধতিতে প্রচলিত পদ্ধতির চেয়ে প্রায় ৬০% ইউরিয়া এবং ৩০% এমওপি সার কম লাগে। আর প্রচলিত পদ্ধতির তুলনায় এ পদ্ধতিতে প্রায় ৪৮% পানিসেচ  সাশ্রয় হয়। এ পদ্ধতি ব্যবহার করে একজন কৃষক বেশ লাভবান হতে পারেন। এ প্রযুক্তিটি উদ্ভাবন করেছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, গাজীপুর।    

 

শরিফ আহমেদ, গ্রাম : তিনিশপুর, উপজেলা : নরসিংদী সদর, জেলা : নরসিংদী
প্রশ্ন :  কলাগাছের ৩য় ও ৪র্থ পাতাতে ছোট ছোট হলুদ দাগ পড়ে পাতা পুড়ে যাওয়ার মতো দেখাচ্ছে। এ অবস্থায় কি করণীয়?
উত্তর : কলাগাছের এ ধরনের সমস্যাকে কলার সিগাটোকা রোগ বলে। এ রোগ দেখা দিলে আক্রান্ত পাতা কেটে পুড়িয়ে ফেলতে হবে। আর পরবর্তীতে প্রপিকোনাজল গ্রুপ যেমন টিল্ট ২৫০ ইসি প্রতি লিটার পানিতে ০.৫ মিলি বা কার্বেনডাজিম গ্রুপের যেমন ব্যাভিস্টিন ১ গ্রাম মিশিয়ে ১৫ দিন পর পর গাছে ছিটাতে হবে। এসব ব্যবস্থা নিলে আশা করি উপকার পাবেন।

 

 গোলাপজান, গ্রাম : সনগাঁও, উপজেলা : বালিয়াডাঙ্গি, জেলা : ঠাকুরগাঁও
প্রশ্ন :  রসুন গাছের পাতাতে বাদামি থেকে হালকা বেগুনি রঙের দাগ পড়ে। পরবর্তীতে হঠাৎ করে পাতা ও কা- ভেঙে পড়ে। এ রোগ দমন সম্পর্কে জানাবেন।  
উত্তর :  এ ধরনের রোগ দেখা দিলে আক্রান্ত গাছের পরিত্যক্ত অংশ পুড়িয়ে ফেলতে হয়। এছাড়া রোগ দেখা দিলে প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম ইপ্রোডিয়ন যেমন-রোভরাল এককভাবে অথবা ২ গ্রাম রোভরাল ও ২গ্রাম রিডোমিল গোল্ড একত্রে মিশিয়ে সঠিক নিয়মে স্প্রে করলে উপকার পাওয়া যাবে।  
মৎস্য বিষয়ক

 

মোছা: সুফিয়া বেগম, গ্রাম : গোপালপুর, উপজেলা : মিঠাপুকুর, জেলা : রংপুর
প্রশ্ন : মাছের আঁইশ উঠে যাচ্ছে কি করব?
উত্তর:  ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগের কারণে মাছের আঁইশ উঠে যায়। এ রোগের লক্ষণগুলো হলো-মাছের আঁইশের গোড়ায় রস জমে আঁইশ ঢিলে হয়ে যায়। চামড়া থেকে উজ্জ্বলতা হারায় এবং মাছ অলসভাবে চলাফেরা করে। মাছের এ সমস্যা প্রতিকারে চুন বা ব্লিচিং পাউডার দিয়ে পুকুর শোধন করতে হবে। এক কেজি ওজনের মাছে ১০ মিলিগ্রাম হারে সপ্তাহে ২বার ক্লোরোমাইসিন মিশিয়ে প্রতি ৪ দিন পর পর ২৪ ঘণ্টা মাছকে রাখতে হবে। এসব ব্যবস্থা নিলে আপনার উল্লিখিত সমস্যার সমাধান হবে।  

 

মো: ফেরদৌস, গ্রাম : সরদারপাড়া উপজেলা : বাঘা, জেলা: রাজশাহী
প্রশ্ন : পানির রঙ গাঢ় সবুজ, মাছ মরে যাচ্ছে। কী করব?  
উত্তর : অতিরিক্ত প্লাংকটন তৈরি হওয়ার কারণে এবং অক্সিজেন এর অভাব হলে এমন হয়। এ ধরনের সমস্যার প্রতিকারে প্রতি শতকে ১ কেজি চুন প্রয়োগ করতে হবে। খাবার ও রাসায়নিক সার সাময়িক বন্ধ রাখতে হবে। পানির পরিমাণ বাড়াতে হবে। তুঁতে বা কপার সালফেট ১২-১৪ গ্রাম শতকহারে ছোট পোঁটলায় বেঁধে উপর থেকে ১০-১৫ সেমি নিচে বাঁশের খুঁটিতে বেঁধে রাখলে ভালো হবে। সিলভার কার্প মাছ ছাড়া যেতে পারে। এছাড়া জিপসাম সার প্রয়োগ করতে পারেন শতক প্রতি ১ কেজি করে। এভাবে ব্যবস্থা নিলে উপকার পাবেন।   

 

প্রাণিসম্পদ বিষয়ক
আবদুস সালাম, গ্রাম : সর্দারপাড়া, উপজেলা : আটওয়ারী, জেলা : পঞ্চগড়
প্রশ্ন : আমার গাভী গরুর বয়স সাড়ে তিন বছর।  জরায়ুতে পুঁজ জমে পেট বড় দেখাচ্ছে। এখন কী করব?
উত্তর : ট্রাইসালফা এবং স্ট্রেপটোমাইসিন অথবা অক্সিটেট্রাসাইক্লিন বা ট্রাইজন ভেট ইনজেকশন দিতে হবে। সাথে ডেক্সট্রোস স্যালাইন দিতে হবে। এসব ব্যবস্থা নিলে আশা করি উপকার পাবেন।     

 

মো. সেলিম, গ্রাম : কালের কাঠি, উপজেলা : বাকেরগঞ্জ, জেলা : বরিশাল
প্রশ্ন : আমার কোয়েল পাখি আছে। পাখি খুঁড়িয়ে হাঁটছে এবং এ সময় নখ বাঁকা দেখা যাচ্ছে। কী করব?
উত্তর : ভিটামিন বি-২ যুক্ত প্রাকৃতিক খাদ্য যেমন প্রাণীর যকৃত, সবুজ কচি ঘাস, প্রাণীর কিডনি বা মাছের গুঁড়া ইত্যাদি অথবা ভিটামিন মিনারেল প্রিমিক্স খাওয়াতে হবে। তাহলে আপনার কোয়েল পাখির উল্লিখিত সমস্যা দূর হয়ে যাবে।  
(মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ বিষয়ক প্রশ্ন কৃষি কল সেন্টার হতে প্রাপ্ত)

 

কৃষিবিদ মো. তৌফিক আরেফীন
উপপ্রধান তথ্য অফিসার, কৃষি তথ্য সার্ভিস, খামারবাড়ি, ঢাকা-১২১৫, মোবাইল ০১৭১১১১৬০৩২, ই-মেইল : taufiquedae25@gmail.com

 

 


COVID19 Movement Pass Online Police Clearance BD Police Help line Expatriate Cell Opinion or Complaint NIS Bangladesh Police Hot Line Number Right to Information PIMS Police Cyber Support for Women BPWN Annual Training Workshop Achievement & Success PHQ Invitation Card
Press Release Recruitment Information Procurement / Tender Notice Legal Instrument Innovation Corner Detective Magazine Bangladesh Football Club Diabetes-Covid19 Exam Results Accident Info Important Forms

Apps

icon icon icon icon icon icon